Book Name:Farooq-e-Azam ka Ishq-e-Rasool
চেয়েও বেশি প্রিয়।” একথা শুনে নবীয়ে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করলেন: “الْآنَ يَا عُمَرُ অর্থাৎ হে ওমর! এবার (তোমার ভালবাসা পরিপূর্ণ হয়ে গেলো।)”
(বুখারী, কিতাবুল ঈমান ওয়ান নুযুর, ৪র্থ খন্ড, ২৮৩ পৃষ্ঠা, হাদীস ৬৬৩২)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এই আদেশ শুধুমাত্র ফারুকে আযম
رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর জন্যই নয় বরং কিয়ামত পর্যন্ত আগত প্রত্যেক মুসলমানের জন্যই, কেননা নবীর ভালবাসা হলো ঐ বিষয়, যা ছাড়া আমাদের ঈমান পরিপূর্ণই হতে পারে না। প্রিয় নবী صَلَّی
اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: لَایُؤْمِنُ اَحَدُکُمْ حَتّٰی اَکُوْنَ اَحَبَّ
اِلَیْہِ مِنْ وَّالِدِہٖ وَوَلَدِہٖ وَالنَّاسِ اَجْمَعِیْن অর্থাৎ তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তিই ততক্ষণ পর্যন্ত (পরিপূর্ণ) মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত আমি তার নিকট তার পিতামাতা, সন্তান সন্ততি এবং সকল লোকের চেয়ে বেশি প্রিয় হবো না।” (সহীহ বুখারী, কিতাবুল ঈমান, বাবু হুব্বির রাসূলে মিনাল ঈমান, হাদীস ১৫, ১/১৭) নিশ্চয়! একজন মুসলমানের প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم
কে এমনই ভালবাসা উচিৎ, কেননা এটাই তার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমিরুল মুমিনিন হযরত ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর ইশকে রাসূলের কথা কি আর বলবো! যখন তাঁর হুযুরে আকরাম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কে স্মরণ আসতো তখন তিনি رَضِیَ اللهُ عَنْہُ অস্থির হয়ে যেতেন এবং মাহবুবের বিচ্ছেদে কান্নাকাটি করতেন।
তাঁর গোলাম হযরত আসলাম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেন: যখন তিনি رَضِیَ اللهُ عَنْہُ প্রিয় নবী, রাসূলে আরবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর আলোচনা করতেন তখন ইশকে রাসূলে ব্যাকুল হয়ে কান্না করতে থাকতেন এবং বলতেন: “প্রিয় আক্বা, মক্কী মাদানী মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم তো মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দয়ালু, এতিমের জন্য পিতা স্বরূপ এবং মানুষের মধ্যে মনের দিক দিয়ে সবচেয়ে বেশি বাহাদুর ছিলেন, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন চেহারা বিশিষ্ট, সুবাসিত সুগন্ধি সমৃদ্ধ এবং বংশীয় দিক দিয়ে সবচেয়ে বেশি সম্মানিত ছিলেন, পূর্ববর্তী ও পরবর্তীদের মাঝে তাঁর মতো আর কেউ নেই।”
(জামউল জাওয়ামে, ১০ম খন্ড, ১৬ পৃষ্ঠা, হাদীস ৩৩)