Book Name:Musibaton Par Sabr Ka Zehen Kaise Banye?

তৈরি করা উচিত, নিজেকে গুনাহগার মনে করে সর্বাবস্থায় আল্লাহ পাকের শুকরিয়া আদায় করা উচিত যে, আমি তো কঠিনতম অপরাধী হওয়ার কারণে (কঠোর) শাস্তির যোগ্য, আমার উপর আসা বিপদ যদি আমার গুনাহের শাস্তি হয়, তবে আমি খুবই সস্তায় ছাড়া পাচ্ছি, নতুবা দুনিয়ার পরিবর্তে আখেরাতে জাহান্নামের শাস্তি পেলে আমি কোথাও থাকব না

 

    () রাসূলে আকরম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এবং তাঁর মোবারক সাহাবী عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان দের উপর চালানো অত্যাচার এবং পরীক্ষার কথা স্মরণ করাও বিপদের উপর ধৈর্যধারণের মানসিকতা তৈরিতে অত্যন্ত (উপকারী)। রাসূল আকরম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এবং তাঁর সাহাবীদের عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان কে কীভাবে অত্যাচার করা হয়েছে! আসুন! এর কয়েকটি বেদনাদায়ক ঝলক দেখি, যেমন:

 

খন রাসূলে আকরম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم মক্কার উপত্যকায় (মানুষদের) (আল্লাহ পাকের ইবাদতের দিকে ডাকা শুরু করলেন, তখন শিরক ও কুফরের পরিবেশে বেড়ে ওঠা লোকদের কাছে এই কথা অত্যন্ত (অসহ্য) মনে হলো এবং তারা নবী করিম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর প্রাণের শত্রু হয়ে গেল। রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর রাস্তায় কাঁটা বিছানো হতো, নাজুক ও মোবারক শরীরে পাথর বর্ষণ করা হতো, কষ্ট ও বিপদের পাহাড় ভাঙা হতো, (বিদ্রূপ) এবং (গালিগালাজ) এর (বাজার) খুব (উত্তপ্ত) করা হতো। এরপরও তারা থামেনি, বরং যে কেউ রাসূল صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর উপর ঈমান আনার সৌভাগ্য অর্জন করত, এই হতভাগা) লোকেরা তাকেও নানা রকম কষ্ট ও বিপদে ফেলে ইসলাম থেকে ফেরানোর চেষ্টায় লেগে যেত। কাউকে তন্দুরের মতো গরম আরবের মরুভূমির প্রখর রোদে পিঠে চাবুক মেরে মেরে আহত করে জ্বলন্ত বালির উপর পিঠ দিয়ে শোয়ানো হতো এবং বুকের উপর এত ভারী পাথর রাখা হতো যে, সে পাশ ফিরতে পারত না। কারো শরীরকে লোহার গরম শিক দিয়ে দাগানো হতো, কাউকে পানিতে এমনভাবে ডোবানো হতো যে তার দম আটকে যেত এবং কাউকে চাদরে জড়িয়ে নাকে ধোঁয়া দেওয়া হতো, যার ফলে শ্বাস নেওয়া কঠিন হয়ে যেত। মোটকথা, এমন এমন অত্যাচার করা হতো যে, যদি তাদের জায়গায় পাহাড় থাকত, তবে হয়তো সেও টলে