Book Name:Musibaton Par Sabr Ka Zehen Kaise Banye?

Ø কেউ বিয়ে বা ওয়ালিমাতে দাওয়াত দেয়নি তো অধৈর্য

 

মোটকথা, জীবনের কমবেশি প্রত্যেক (ক্ষেত্রের) সাথে সম্পর্কযুক্ত ব্যক্তিদের অধৈর্যের এই খারাপ বিপদ নিজের (আগ্রাসনে) নিয়ে নিয়েছে

 

মনে রাখবেন! বিপদ, পেরেশানি এবং অসুস্থতা আমাদের জীবনের অংশ তাই এগুলোর উপর ঘাবড়ে যাওয়া, চিৎকার-চেঁচামেচি করা, অভিযোগ-অনুযোগের স্তূপ লাগানো এবং অপ্রয়োজনে (শরয়ী ভাবে) কারো উপর প্রকাশ করা কখনোই বুদ্ধিমানদের কাজ নয় এমন পরিস্থিতিতে আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির উপর (সন্তুষ্ট) থেকে ধৈর্যের (আঁচল) দৃঢ়ভাবে ধরে রেখে এর বিনিময়ে প্রাপ্ত ফযীলত এবং সওয়াবের দিকে নজর রাখা উচিত কারণ এটাই আল্লাহ ওয়ালাদের চিরকালের রীতি, যেমন:

 

একবার আমীরুল মু'মিনীন হযরত উমর ফারুক  رَضِیَ اللهُ عَنْہُ ইরশাদ করেন: যখন আমি কোনো বিপদে পতিত হই, তখনও আল্লাহ পাকের এই চারটি () নিয়ামত পাই: () এই বিপদের কারণে তখন গুনাহে লিপ্ত হই না () এই বিপদের সময় আমার উপর এর চেয়ে বড় কোনো বিপদ আসে না () এই বিপদের সময় আমি এর উপর সন্তুষ্ট থাকি এবং () এই বিপদের সময় আমি এর উপর সাওয়াবের আশা রাখি

(ফয়যুল ক্বাদীর, /১৬৯, হাদীস: ১৫০৬ এর অধীনে)

 

এছাড়াও হাদীস শরীফে বিপদ, পেরেশানি এবং অসুস্থতার উপর ধৈর্যধারণের ফযীলত বর্ণনা করা হয়েছে আসুন! ধৈর্যধারণের মানসিকতা তৈরির জন্য দুটি ফরমান--মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم শুনি যেমন:

 

() ইরশাদ করেন: আল্লাহ পাক যার সাথে কল্যাণের ইচ্ছা করেন, তাকে বিপদে (পতিত) করে দেন (বুখারী, /, হাদীস: ৫৬৪৫)

 

() ইরশাদ করেন: যার মাল বা জানে বিপদ এলো, তারপর সে তা লুকিয়ে রাখল এবং মানুষের কাছে প্রকাশ করল না, তাহলে আল্লাহ পাকের উপর (অধিকার) হলো যে, তিনি তাকে ক্ষমা করে দেবেন