Book Name:Imam Gazali Ki Naseehaten

উম্মতকে পথভ্রষ্ট হওয়া থেকে বাঁচানোর সময় কিছু সূফীয়ায়ে কিরাম স্বপ্নে গায়েবী ইঙ্গিতও পান এবং বলা হয় যে, এখন নির্জনবাস ছেড়ে দেওয়া জরুরি সুতরাং, ইমাম গাযযালী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ পুনরায় দরস তাদরিসের আসনে তাশরিফ আনেন এবং ফিতনা দমনের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন

মাম গাযযালী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ একই সাথে তিনটি রণাঙ্গনে ফিতনা মোকাবেলা করেন: (১) এর মধ্যে প্রথম রণাঙ্গনটি ছিল আহলে দর্শনশাস্ত্রের। ইমাম গাযযালী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর যুগে দর্শনশাস্ত্রের চরম বিকাশ হয়েছিল এবং দার্শনিকগণ ইসলামকে বুদ্ধি দিয়ে বিচার করে কুরআনুল করীম, হাদীস শরীফ এবং ইসলামের মৌলিক আকীদার উপর নানা ধরনের আপত্তি উত্থাপন করছিল। ইমাম গাযযালী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ময়দানে আগমন করলেন এবং অত্যন্ত গবেষণামূলক ভঙ্গিতে দার্শনিকদের আপত্তির শুধু খণ্ডনই করেননি, বরং দর্শনের মূল ভিত্তির উপর যুক্তিসঙ্গত আপত্তি উত্থাপন করেন এবং এ বিষয়ে গ্রন্থ রচনা করে ইসলামী আকীদার সংরক্ষণ করেন। (২) অনুরূপভাবে, ইমাম গাযযালী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর যুগে বাতেনী ফেরকাও চরম বিকাশ লাভ করেছিল। এরাও উম্মতকে পথভ্রষ্ট করে ইসলামের মৌলিক আকীদা পরিবর্তন করতে এবং নিজেদের বাতিল শিক্ষা প্রচার করতে ব্যস্ত ছিল। ইমাম গাযযালী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এই পথভ্রষ্ট ফেরকারও কঠোরভাবে খণ্ডন করেন এবং উম্মতের আকীদার সংরক্ষণ করেন। (৩) তৃতীয় বড় ও গুরুত্বপূর্ণ রণাঙ্গন ছিল যার উপর ইমাম গাযযালী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ কাজ করেছেন, তা হলো সাধারণ মানুষের আমলী অবনতি। ইমাম গাযযালী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর যুগে সমাজ ছিল পথভ্রষ্টতার শিকার। এ দিকে ইমাম গাযযালী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ সময়মতো মনোযোগ দেন এবং সমাজের সংশোধনের জন্য কোমর বেঁধে নেমে পড়েন। এই কাজের জন্য ইমাম গাযযালী