Book Name:Imam Gazali Ki Naseehaten
আলাদা বাজার ও দোকান রয়েছে। সেই জিনিসটি খুঁজতে গেলে সেই দরজা, সেই দোকান, সেই বাজারে যেতে হয়। আল্লাহ পাককে খুঁজুন হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দরবারে এবং হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কে খুঁজুন আওলিয়া কিরামের দরবারে। (তাফসীরে নাঈমী, পারা: ৬, সূরা মায়েদা, ৩৫নং আয়াতের পাদটিকা, খণ্ড: ৬, পৃষ্ঠা: ৪০২) তিনি আরও বলেন: এই আয়াতে তাকওয়ার পর উসিলা সন্ধানের নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে যে, কোনো মুত্তাক্বী তাকওয়ার কোনো স্তরে পৌঁছে উসিলা থেকে অমুখাপেক্ষী হতে পারে না। সুতরাং, কোনো মুত্তাক্বী মুসলমান যেন না ভাবে যে, আমি তো মুত্তাক্বী হয়ে গেছি, এখন আল্লাহ পাক পর্যন্ত পৌঁছার জন্য আমার কোনো উসিলার প্রয়োজন নেই। যেমনটি প্রত্যেক মুমিন আমল ও তাকওয়ার মুখাপেক্ষী, তেমনি প্রত্যেক মুত্তাক্বীও উসিলার মুখাপেক্ষী। (তাফসীরে নাঈমী, পারা: ৬, সূরা মায়েদা, ৩৫নং আয়াতের পাদটিকা, খণ্ড: ৬, পৃষ্ঠা: ৩৯৪)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
ইমাম গাযযালী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর তাজদীদের কার্যাবলী
প্রায় ১১ বছর পর্যন্ত ইমাম গাযযালী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ নির্জনবাসী ছিলেন এবং আল্লাহ পাকের ইবাদত ও রিয়াযত করতেন। এই সময়ে অসংখ্য ফিতনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। এই ফিতনাগুলো মোকাবেলা করার জন্য একজন বিজ্ঞ আলেমের প্রয়োজন ছিল। সুতরাং, তৎকালীন বাদশাহ ইমাম গাযযালী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ কে চিঠি লিখেন এবং অনুরোধ করেন যে, নির্জনবাস ছেড়ে বাগদাদে তাশরিফ নিয়ে আসুন এবং উম্মতকে ফিতনা থেকে মুক্তি দিন। বাদশাহর বারবার অনুরোধে ইমাম গাযযালী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ কিছু সূফীয়ায়ে কিরামের সাথে পরামর্শ করেন। সবাই বললেন যে, এখন নির্জনবাসের সময় নয়, এখন ফিতনা মোকাবেলা করে