নসীব হতো, আমাদেরও যদি এমন সুন্দর চিন্তা ভাবনা আসত এবং আমরাও যদি সুন্নতে মুস্তফার চলমান প্রতিচ্ছবি হয়ে যেতাম।

আকা করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর পূর্বে তাওয়াফ করেননি:

হে আশিকানে রাসূল! এই সময় আরও একটি বড় ঈমান উদ্দীপক ঘটনা ঘটেছিল। ঘটনাটি হলো, যখন হযরত উসমান গণী رَضِیَ اللهُ عَنْہُ মক্কা মুকাররমায় ছিলেন, তখন তাঁর চাচাতো ভাই আবান বিন সাঈদ তাঁকে বলল: " یَابْنِ عَمِّ طُفْ!" (হে চাচাতো ভাই! তাওয়াফ করে নিন...!!)। হযরত উসমান গণী رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বললেন: হে আবান বিন সাঈদ! আমাদের একজন রাসূল আছেন, একজন প্রিয়তম আছেন, আমরা কোনো কাজই নিজের ইচ্ছায় করি না। সরওয়ারে আলম, নূরে মুজাসসাম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم প্রথমে করেন, আমরা যা কিছুই করি, তাঁর অনুসরণেই করি। (আর রিয়াদ্বুন নাদ্বরা, পৃ: ২২)

রাসূলুল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم থেকে অগ্রবর্তী হওয়া নিষেধ :

سُبْحَانَ الله! আল্লাহ পাক আমাদেরকেও এমন রাসূলপ্রেম, এমন পরিপূর্ণ ভালবাসা নসীব করুন। হায়! আমরাও যদি আমাদের প্রিয়তম আকা, মাক্কী মাদানী মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর অনুসরণকারী হতে পারতাম। আফসোস! আজকাল মানুষ যুক্তির ঘোড়া ছোটায়, কুরআন ও হাদীসের শিক্ষাকে যুক্তির মানদণ্ডে মাপে, ফ্যাশনপ্রীতিতে এমনভাবে ডুবে আছে যে, সুন্নতে মুস্তফা গ্রহণ করা তো দূরের কথা, সুন্নত সম্পর্কে জ্ঞান ও অর্জন করে না। হায়! আমরা যদি সরওয়ারে আলম, নূরে মুজাসসাম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর সত্যিকারের অনুসারী হতে পারতাম। আল্লাহ পাক কুরআন শরীফে বলেন:

يٰۤاَیُّہَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا تُقَدِّمُوْا بَیْنَ یَدَیِ اللّٰہِ وَ رَسُوْلِہٖ وَ اتَّقُوا اللّٰہَ ؕ اِنَّ اللّٰہَ سَمِیْعٌ عَلِیْمٌ (۱)

(পারা ২৬, সূরা হুজরাত, আয়াত ১)               কানযুল ঈমানের অনুবাদ: হে ঈমানদারগণ! আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আগে বাড়বেনা এবং আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চয় আল্লাহ শুনেন, জানেন।

    হযরত আয়েশা সিদ্দীকা رَضِیَ اللهُ عَنْہَا থেকে বর্ণিত: কিছু লোক রমজান মাসের একদিন আগেই রোযা রাখা শুরু করে দিত। তাদের সম্পর্কে এই আয়াত শরীফ নাযিল