Book Name:ALLAH Pak Se Muhabbat Karne Walon Ke Waqiaat
(৫) “আল্লাহ পাকের ভালবাসা”র ১টি নিদর্শন হলো, নিজের অন্তরকে দুনিয়ার ভালবাসা থেকে পৃথক করে পরিপূর্ণভাবে আল্লাহ পাক সামনে নত রাখা।
বর্ণিত আছে যে, আল্লাহ পাক হযরত ঈসা عَلَیْہِ السَّلَام এর নিকট ওহী প্রেরণ করলেন যে, হে ঈসা! আমি দেখছি যে, যখন কোন বান্দার অন্তর দুনিয়া ও আখিরাতের ভালবাসা থেকে পবিত্র হয়ে যায় তখন তাকে আমার ভালবাসা দিয়ে পূর্ণ করে দিই।
(৬) “আল্লাহ পাকের ভালবাসা”র আরো ১টি নিদর্শন হলো, এমন সব কাজ থেকে দূরে থাকা যা আল্লাহ পাকের নৈকট্য অর্জনে প্রতিবন্ধক।
হযরত যুননুন মিসরী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: আল্লাহ পাকের প্রতি ভালবাসা পোষণকারীর নিদর্শন এটাও যে, ঐ সকল বিষয় ছেড়ে দেবে যা আল্লাহ পাকের স্মরণ থেকে উদাসীন বানিয়ে দেয় এবং নিজেকে আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টিমূলক কাজে লিপ্ত রাখে। (আয যুহুদুল কবীর, ৭৮ পৃষ্ঠা)
(৭) “আল্লাহ পাকের ভালবাসা”র ১টি নিদর্শন এটাও যে, আল্লাহ পাককে সত্যিকার ভালবাসা পোষণকারী নেক লোকদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলা এবং তাদের সঙ্গ অবলম্বন করা।
শায়খে তরীকত, আমীরে আহলে সুন্নাত, দাওয়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা হযরত আল্লামা মাওলানা আবু বিলাল মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবী যিয়ায়ী دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہ বলেন: সর্বদা এমন সঙ্গ অবলম্বন করা উচিৎ, যাতে ইবাদতের আগ্রহ এবং সুন্নাতের উপর আমল করার প্রেরণা বৃদ্ধি পায়। বন্ধু এমন হোক, যাকে দেখে আল্লাহ পাকের স্মরণ আসে, তার কথায় নেকীর প্রতি আসক্তি বৃদ্ধি পায়, দুনিয়ার ভালবাসা হ্রাস এবং আখিরাতের ভালবাসায় বৃদ্ধি পায়। বন্ধু এমন হোক, যেন তার কারণে আল্লাহ পাক এবং তাঁর প্রিয় রাসূল صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর ভালবাসায় বৃদ্ধি পায়।