Book Name:Baap Ki Azmat o Shan
সেদিনই বাদশাহ ফরমান জারি করলেন যে, আমার এই রঙ ও এই ডিজাইনের মুক্তা দরকার, বাদশাহের প্রতিনিধিরা শহরের সমস্ত জুয়েলার্সদের কাছে গেল, কিন্তু কোথাও এই ধরনের মুক্তা পেল না। শেষ পর্যন্ত জানা গেল যে, অমুক মহল্লায় একজন লোক আছে যার কাছে মাছের পেট থেকে এমন একটি মুক্তা বের হয়েছে, যা লোকেরা আগে দেখেনি। লোকেরা খুঁজতে খুঁজতে তার দরজায় পৌঁছাল। মুক্তা দেখে বলল: বাদশাহের ঠিক এই রকম মুক্তা দরকার। যখন বাদশাহকে সেই মুক্তা দেখানো হলো, তখন তিনিও বললেন: হ্যাঁ, এটাই সেই মুক্তা। এখন এই মুক্তার দাম জিজ্ঞেস করা হলো, যেহেতু আগের যুগে গাধা ও ঘোড়ার পিঠে মাল চাপানো হতো, তাই সেই ব্যক্তি বলল: ৩০টি খচ্চর (অর্থাৎ ৩০ Mules) সোনা। বাদশাহ ৩০টি খচ্চরের উপর সোনার বস্তা চাপিয়ে তার কাছ থেকে মুক্তা কিনে নিলেন। এক দিনারের বরকতে কত সম্পদ হয়ে গেল এবং সেটাও এখন পর্যন্ত শুধু একটি মুক্তা বিক্রি করে। বাদশাহ এই মুক্তাটি নিয়ে এই কাজের যে বিশেষজ্ঞ ছিল তাকে দিলেন, সে বাদশাহকে বলল: একটি মুক্তা দিয়ে সৌন্দর্য আসবে না, এর জোড়া দরকার, যখন এই রকম আরেকটি মুক্তা পাওয়া যাবে তখন এর আসল মূল্য হবে। বাদশাহ বললেন: আরেকটি মুক্তা খুঁজে বের করো যদিও দ্বিগুণ দাম দিতে হয়। তারপর মুক্তা খোঁজা হল কিন্তু কোথাও পাওয়া গেল না, ফিরে এসে লোকেরা সেই ব্যক্তির দরজায় পৌঁছাল, তাকে জিজ্ঞাসা করল: তোমার কাছে কি এই ধরনের আরেকটি মুক্তা আছে? সে বলল: এই ধরনের আরেকটি মুক্তা আছে কিন্তু সেটার জন্য তোমাকে দ্বিগুণ দাম দিতে হবে, সুতরাং তারা সেই ব্যক্তির কাছ থেকে ৬০টি খচ্চরের উপর সোনার বস্তা বিনিময় করে সেই মুক্তা কিনে নিলো। (হিলইয়াতুল আওলিয়া, তাউস বিন কায়সান, ৮/৩,