Book Name:Ghous e Pak Ka Ilmi Maqam

উপবাস এবং ধৈর্য্য

    হযরত সায়িদুনা আবু বকর তামিমি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বর্ণনা করেন যে, হুযুর গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ স্বয়ং বলেন: একবার বাগদাদে দুর্ভিক্ষ দেখা দিলো, যার কারণে আমার অনেক অভাব এবং বিপদের সম্মুখীন হতে হয় আর অনেকদিন পর্যন্ত আমি খাওয়ার কিছুই পেলাম না। একদিন আমি ক্ষুধার তাড়নায় দজলা নদীর দিকে গেলাম, যেন সেখানে কোন শাক বা সবজির পাতা ইত্যাদি খেতে পারি, কিন্তু যেখানেই যাই সেখানেই আমার পূর্বে কোন না কোন ফকির বিদ্যমান থাকে এবং যদি কোন কিছু পেত তবে তার উপর সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়তো, আমি তাদের মাঝে বাধা হওয়া পছন্দ করলাম না এবং সেই অবস্থায় শহরে ফিরে এলাম যে, সেখানে কিছু খুঁজে নিবো, কিন্তু সেখানেও কিছু পেলাম না, অবশেষে আমি ক্ষুধায় কাহিল হয়ে মসজিদের এক কোণায় গিয়ে বসে গেলাম, কিছুক্ষণ পর এক অনারবী যুবক রুটি আর ভুনা মাংস নিয়ে মসজিদে প্রবেশ করলো এবং খেতে লাগলো, তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: তার ক্ষুধার কারণে তার প্রতিটি গ্রাসেই আমার মুখ খুলে যাচ্ছিলো, কিন্তু আমি আমার নফসকে এরূপ আচরণের জন্য তিরস্কার করি, এমন সময় সে আমার দিকে তাকালো এবং খাবার এনে আমাকে পেশ করলো, সে আমাকে জিজ্ঞাসা করলো আপনি কোথাকার অধিবাসী এবং কি করেন? আমি বললাম: জিলানের অধিবাসী এবং এখানে ইলমে দ্বীন অর্জন করছি। যুবকটি বলল: আপনি কি জিলানের অধিবাসী আব্দুল কাদের নামে কোন যুবককে চিনেন? আমি বললাম: সে আমিই, একথা শুনে সে অস্থির হয়ে গেলো এবং আমার নিকট ক্ষমা চেয়ে বলতে লাগলো: আপনার শ্রদ্ধেয়া আম্মাজান আমার নিকট আপনার জন্য ৮টি দিনার পাঠিয়েছেন, আমি যখন বাগদাদ আসি তখন আমার নিকট আমার নিজস্ব খরচাদি ছিলো, কিন্তু আপনাকে খুঁজতে খুঁজতে এতদিন অতিবাহিত হয়ে গেলো যে, আমার নিকট থাকা আমার নিজস্ব খরচাদী শেষ হয়ে গেলো, আমি উপবাস অবস্থায় আজ তৃতীয় দিন, বাধ্য হয়ে আপনার আমানত থেকে এক বেলা খাওয়ার জন্য রুটি ও মাংস এনেছি, এবার আপনি সানন্দে এই খাবার খেতে পারেন, কেননা এসব কিছু আসলে আপনারই, এখন আপনি আমার নয় বরং আমিই আপনার মেহমান, তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: আমি তাকে সান্ত্বনা  দিলাম এবং এই বিষয়ে আমার