Book Name:Ghous e Pak Ka Ilmi Maqam

رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর এই ছাত্রের মেধাহীনতায় ধৈর্য্য সহনশীলতা দেখলেন তখন অনেক আশ্চার্য্য হলো, যখন সেই ছাত্র সেখান থেকে উঠে চলে গেলো তখন ইবনে সামহাল আরয করলো: এই ছাত্রের মেধাহীনতা এবং আপনার ধৈর্য্য আমাকে আশ্চার্য করেছে তিনি বললেন: তার কারণে আমার কষ্ট মাত্র এক সপ্তাহ থেকেও কম সময়ের, কেননা এই ছাত্রের ইন্তিকাল হয়ে যাবে

    হযরত সায়িদুনা আহমদ বিন মুবারক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: সেই দিন থেকে আমরা সেই ছাত্রের দিন গণনা শুরু করলাম এবং এক সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার শেষ দিন সে বাস্তবেই ইন্তিকাল করলো (কালাইদিল জাওয়াহের, পৃষ্ঠা-)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

ফতোয়া লেখার বাদশাহ

    প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এমনিভাবে হুযুর গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ দরস শিক্ষকতা, রচনা সংকলন, ওয়াজ নসীহত এবং এছাড়াও বিভিন্ন প্রজ্ঞাময় শাখায় দক্ষতা রাখতেন, কিন্তু বিশেষ করে ফতোয়া লিখনে তাঁর সেই উৎকর্ষতা অর্জন ছিলো যে, সেই যুগের বড় বড় ওলামা, ফুকহা এবং মুফতীয়ানে কিরামগণও رَحِمَہُمُ الله তাঁর অসাধারণ ফতোয়া প্রদানে আশ্চার্য হয়ে যেতেন যেমনটি

    শায়খ ইমাম মুয়াফফেকুদ্দিন বিন কুদামা رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: আমি ৫৬১ হিজরীতে বাগদাদ শরীফ গেলাম, তখন দেখলাম যে, শায়খ সৈয়দ আব্দুল কাদের জিলানী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ সেই সব ব্যক্তিত্বদের অর্ন্তভূক্ত, যাদের সেখানে ইলম আমল এবং ফতোয়া লিখনের বাদশাহী দেয়া হয়েছে (বাহজাতুল আসরার, পৃষ্ঠা-২২৫) তাঁর জ্ঞানের দক্ষতার অবস্থা এমন ছিলো যে, যদি তাঁকে খুবই জটিল মাসআলাও জিজ্ঞাসা করা হতো তবে তিনি সেই মাসআলার অতি সহজ উত্তম উত্তর প্রদান করতেন, তিনি দরস শিক্ষকতা এবং ফতোয়া লিখনে প্রায় তেত্রিশ (৩৩) বছর দ্বীনে মতিনের খিদমত করেছেন, এই সময় যখন তাঁর ফতোয়া ইরাকের ওলামাদের নিকট নেয়া হত তবে তারা তাঁর উত্তরে আশ্চার্য হয়ে যেতো