Book Name:Ghous e Pak Ka Ilmi Maqam

. যে ব্যক্তি জ্ঞান অন্বেষণে কোন রাস্তা দিয়ে চলে, আল্লাহ পাক তার জন্যে জান্নাতের রাস্তা সহজ করে দেন (মুসলিম, কিতাবুয যিকরে ওয়াদ দোয়া, পৃষ্ঠা-১৪৪৭, হাদীস নং-২৬৯৯)

. যে ব্যক্তি জ্ঞান অর্জনের জন্য ঘর তেকে বের হয় তবে যতক্ষণ পর্যন্ত ফিরে আসবে না, আল্লাহ পাকের পথেই থাকবে (তিরমিযী, কিতাবুল ইলম, /২৯৪, হাদীস নং-২৬৫৬)

. আল্লাহ পাক যার সাথে মঙ্গলের ইচ্ছা পোষণ করে, তাকে দ্বীনের জ্ঞান দান করেন (বুখারী, কিতাবুল ইলম, /৪২, হাদীস নং-৭১)

. যখন মানুষ মৃত্যুবরণ করে তখন তার আমল বন্ধ হয়ে যায়, শুধুমাত্র তিনটি ছাড়া, () সদকায়ে জারিয়া () এমন ইলম যা থেকে উপকার অর্জিত হয় () নেককার সন্তান, যে তার জন্যে দোয়া করে (মুসলিম, কিতাবুল ওসীয়া, পৃষ্ঠা-৮৮৬, হাদীস নং-১৬৩১)

ইলম ভুলে যাওয়ার ক্ষতি সমূহ

    প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এই হাদীসে মুবারাকা সমূহ দ্বারা ইলমে দ্বীনের যেখানে আরো অনেক ফযিলত জানা গেলো, তেমনি এটাও জানা গেলো যে, সদকায়ে জারিয়া, ইলমে দ্বীনের প্রসারতা এবং নেককার সন্তান এমন নেকী, যা মৃত্যুর পরও তার সাওয়াব পৌঁছাতে থাকে। সুতরাং নিজের সন্তানদের দ্বীনি শিক্ষা দেওয়ার জন্যে সংকল্প করে নিন এবং তাদের জামেয়াতুল মদীনায় ভর্তি করিয়ে দিন। বর্তমান যুগে মন্দ কাজের মধ্যে সবচেয়ে বড় মন্দ কাজ হচ্ছে অজ্ঞতা, যা সমাজের অন্যান্য মন্দকাজের মধ্যে সর্বোচ্চ, ঘরোয়া বিষয়াদি হোক বা ব্যবসা বানিজ্য, বন্ধু বান্ধবের হোক বা আত্মিয় স্বজনদের, বিবাহ হোক বা সন্তানের উত্তম শিক্ষা, মোটকথা কি আল্লাহ পাকের হক এবং কি বান্দার হক, জীবনে প্রতিটি স্বরে যেখানেই হোক যেভাবেই হোক না কেন যেসব মন্দ রয়েছে, যদি আমরা চুপচাপ এসব নিয়ে চিন্তা ভাবনা করি তবে এই কথাটি আমাদের সামনে স্পষ্ট হয়ে যাবে যে, এর মূল ভিত্তি এবং সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কারণ হলো ইলমে দ্বীন থেকে দূরত্ব। ইলমে দ্বীনকে হারিয়ে বসা এবং সঠিক পথপ্রদর্শন থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণেই শুধু কর্মকান্ড ও চরিত্র নয় বরং আক্বিদা ও ইবাদতেও বিভিন্ন ধরনের মন্দ ও ভুলত্রুটি খুবই দ্রুততার সহিত বেড়ে চলছে, এর সাথে যুদ্ধ করার জন্য শুধুমাত্র ইলম অর্জন করে নেয়াই যথেষ্ট নয় বরং নিজের ইলম অনুযায়ী আমল করা এবং এর মাধ্যমে অন্যের সংশোধনের চেষ্টা করাও জরুরী। এই কারণেই শায়খে তরিকত, আমীরে আহলে সুন্নাত, দাওয়াতে