Book Name:Ghous e Pak Ka Ilmi Maqam
শরিয়তের শক্তি তাঁর কারণেই ক্ষমতা লাভ করতে থাকে। ওলামাদের অনেক বড় দল তাঁর দিকে ধাবিত হয় এবং তাঁর শাগরেদ হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করে, অনেক ফকির দরবেশ, বড় বড় ওলামা এবং উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন পীরানে এজামগণও তাঁর থেকে খেলাফত অর্জন করার সৌভাগ্য অর্জন করেন। (নুজহাতুল খাতিরিল ফাতির, পৃষ্ঠা-১৯,২০)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
হযরত সায়িদুনা শায়খ মুহাম্মদ বিন ইয়াহইয়া আত তাদফী
رَحْمَۃُ
اللهِ عَلَیْہِ বলেন: যখন তিনি رَحْمَۃُ اللهِ
عَلَیْہِ ইলমে দ্বীন অর্জন সমাপ্ত করলেন তখন তিনি দরস ও পাঠদান এবং ইফতা এর মসনদে সমাসীন হলেন আর এর পাশাপাশি মানুষের মাঝে ওয়াজ ও নসীহত এবং ইলম ও আমল প্রচারের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন, সুতরাং সারা দুনিয়া থেকে ওলামা ও সূফিগণ তাঁর দরবারে ইলম অর্জনের জন্য উপস্থিত হতেন, সেই যুগে বাগদাদে তাঁর মতো কেউ ছিলো না। (কালাইদিল জাওয়াহের, পৃষ্ঠা-৫) তিনি رَحْمَۃُ اللهِ
عَلَیْہِ ইলমের সমুদ্র ছিলেন, তাঁর ইলমে ফিকাহ, ইলমে হাদীস, ইলমে তাফসীর, ইলমে নাহু এবং ইলমে আদব ইত্যাদি বিষয়ের উপর দক্ষতা ছিলো, যখন তাঁকে তাঁর ওস্তাদরা ইলমে হাদীসের সনদ দেয় তখন বলতে লাগলো: হে আব্দুল কাদির! হাদীসের সনদ বাক্যটি তো আমরা আপনাকে দিচ্ছি, কিন্তু আসলে হাদীসের অর্ন্তনিহিত অর্থ এবং মর্ম বুঝা তো আমরা আপনার নিকট থেকে শিখেছি। (হায়াতিল মু’জাম ফি মানকিবে গউসে আযম, পৃষ্ঠা-৪৬)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! হুযুর গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর ইলমে দ্বীন প্রসারের উৎসাহ এমনভাবে ছিলো যে, তিনি তাঁর সময়কে একেবারে নষ্ট করতেন না এবং ইলমী কাজেই বেশীরভাগ ব্যস্ত থাকতেন, অন্য শহরের ছাত্ররাও তার প্রশংসা এবং জ্ঞান ও প্রজ্ঞার দক্ষতার চর্চা শুনে তাঁর খিদমতে ইলমে দ্বীন অর্জন এবং তাঁর ফয়য ও বরকত অর্জনের জন্য উপস্থিত হতেন, তিনি ইলম ও আমলের এমন অনুসারী ছিলেন যে, যারাই তাঁর নিকট ইলমে দ্বীন অর্জনের জন্য আসতো, তারা খালি হাতে ফিরতো না, আসুন! তাঁর ইলম ও আমল এবং দরম ও পাঠদানের বৈশিষ্ট এবং ইলমী খিদমত সম্পর্কে শ্রবণ করি।