Book Name:Ghous e Pak Ka Ilmi Maqam

    নবী করীম, রউফুর রহীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: আল্লাহ পাক যার সাথে মঙ্গলের ইচ্ছা করেন, তখন তাকে মুসিবতে লিপ্ত করে দেন (বুখারী, কিতাবুল মরযী, /, হাদীস নং-৫৬৪৫)

প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! দুঃখ এবং কষ্টে অভিযোগ অনুযোগ করা এবং সর্বদা মানুষের সামনে নিজের পেরেশানীর কথা বলার চেয়ে এই পরীক্ষা এবং কষ্টের মোকাবেলা করে ধৈর্য্য বিনয় সহকারে কাজ করা উচিৎ যদিও আজ কষ্টের মেঘ চেয়ে আছে তবে কাল  اِنْ شَآءَ الله  আনন্দের বৃষ্টিও হবে, আজ বিপদ ঘিরে আছে তবে কাল  اِنْ شَآءَ الله প্রশান্তিময়ও হবে, যেমনিভাবে আনন্দের মুহুর্ত এসে চলে যায় তেমনি পেরেশানির সময়ও অতিবাহিত হয়েই যাবে এই কারণেই হুযুর গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ মুসিবতের সময় আল্লাহ পাকের এই মহান বাণীর প্রতি দৃষ্টি রাখতেন:

اِنَّ مَعَ الْعُسْرِ یُسْرًاؕ(۶)

(পারা ৩০, সূরা আলাম নাশরাহ, আয়াত )

কানযুল ঈমানের অনুবাদ: নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে

    অতঃপর আল্লাহ পাক তাঁর এই ধৈর্য্য সহনশীলতার এমন প্রতিদান দিলেন যে, তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ জ্ঞান প্রজ্ঞায় নিজ যুগের সকল ওলামা মাশায়িখদের নেতৃত্ব অর্জন করেন

গাউসে আযমের অবস্থান ও মর্যাদা

    শায়খ ইমাম আবু আব্দুল্লাহ বিন আহমদ বিন কুদামা رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: শায়খুল ইসলাম, সুলতানুল আউলিয়া, মুহিউদ্দিন, সৈয়দ আব্দুল কাদের জিলানী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ইলম অর্জনের জন্য অনেক চেষ্টা করেছেন। তিনি সেই সময়কার অনেক ওলামা এবং যুগের মাশায়িখের নিকট থেকে ইলম অর্জন করেন। যুগের মাশায়িখ এবং আউলিয়াদের সংস্পর্শে থাকেন। যার ফলে তিনি নিজ যুগের ওলামা ও মাশায়িখদের মধ্যে সবচেয়ে উচ্চ মর্যাদায় অধিষ্টিত হয়েছেন। ইলম অর্জনের জন্য তিনি অনেক দুঃখ ও কষ্ট সহ্য করেছেন। অবশেষে তিনি দুনিয়াবী কার্যক্রম থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করে আল্লাহ পাকের স্বরণ এবং ওয়াজ ও নসিহতে লিপ্ত হয়ে যান। সর্ব যুগে তাঁর ফযিলত ছড়িয়ে পড়লো, দ্বীনের মর্যাদা তাঁর কারণেই প্রকাশ হয়ে গেলো, ইলমের পদমর্যাদা তাঁর কারণেই বৃদ্ধি পেতে লাগলো এবং