Book Name:Ghous e Pak Ka Ilmi Maqam

ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা হযরত আল্লামা মাওলানা আবু বিলাল মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবী যিয়ায়ী دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہ তাঁর মুরীদ, ভালবাসা পোষনকারী এবং তার সংশ্লিষ্টদেরকে নিজের এবং অন্যের র্সশোধনের চেষ্টায় লিপ্ত থাকার জন্যে মাদানী মানষিকতা দিতে গিয়ে তাদের এই মাদানী উদ্দেশ্য দান করেছেন: আমাকে নিজের এবং সারা দুনিয়ার মানুষের সংশোধনের চেষ্টা করতে হবে اِنْ شَآءَ الله

গাউসে আযমের রচনাবলী

    প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! হুযুর গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ দ্বীন ইসলামের খিদমত এবং উম্মতে মুসলিমার পথনির্দেশনার জন্য অনেক কিতাব রচণা করেছেন, আল্লামা আলাউদ্দিন বাগদাদি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ তাঁর রিসালায় তাযকিরায়ে কাদেরীয়ায় হুযুর গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর ৭টি কিতাবের নাম লিপিবদ্ধ করার পর বলেন যে, গ্রহনযোগ্য বর্ণনা দ্বারা জানা যায় যে, তাঁর রচিত কিতাবের সংখ্যা ৬৯টি (সীরাতে গউসে আযম, পৃষ্ঠা-৬১)

তাঁর ওয়াজ ও তাবলীগ

    হুযুর গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ জাহেরী ও বাতেনী জ্ঞানকে প্রসারের জন্য দরস ও শিক্ষকতা এবং রচণা ও সংকলন করার পাশাপাশি ওয়াজ ও নসীহতের মাধ্যমেও দ্বীন ইসলামের অসংখ্য খেদমত করেছেন এবং তাঁর বয়ানে ধরন এমন প্রাঞ্জল ছিলো যে, লোকেরা দলে দলে তাঁর প্রতি প্রভাবিত হয়ে যায় আর যে লোকেরা তাঁর ইজতিমায় এসে যেতো, তারা মাঝখানে উঠে যেতো না বরং যতক্ষণ পর্যন্ত বয়ান চলতে থাকতো ততক্ষন চুপচাপ শুনতে থাকতো, কেননা তাঁর বয়ান খুবই প্রভাব বিস্তারকারী হতো, তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ যখন বয়ানের মাহফিল শুরু করলেন তখন উপস্থিতির আধিক্যের কারণে মাদারাসায়ে আলীয়ার জায়গা সংকুলান হচ্ছিলো না, লোকেরা আশে পাশের ভবন গুলো কিনে ওয়াকফ করে দিলেন, বাগদাদ ছাড়াও দূর দুরান্ত থেকে লোকেরা তাঁর ওয়াজ শুনার জন্য আসতে লাগলো। (বাহজাতুল আসরার, পৃষ্ঠা-২০২-২০৩) তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ সপ্তাহে তিন দিন বয়ান করতেন, যাতে অসংখ্য লোক এবং ওলামা ও সূফীরা তাশরীফ আনতেন, তাঁর ওয়াজ ও তাবলীগ শ্রবণ করার জন্য আসা মানুষের সংখ্যা সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, সাধারণত সত্তর হাজার (৭০০০০) থেকেও বেশী লোক তাঁর বয়ানে অংশগ্রহণ করতো, যাতে ইরাকের ওলামা ও ফকিহ, মাশায়িক ও সূফীয়ায়ে কিরামগণও رَحِمَہُمُ الله থাকতো। (কালাইদুল জাওয়াহের, পৃষ্ঠা-১৮) হুযুর